শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৫ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :

সিলেটে শিক্ষামন্ত্রী, শাবি নিয়ে বৈঠক বিকালে

তরফ নিউজ ডেস্ক: শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) চলমান সংকট নিরসনে আলোচনা করতে সিলেট এসেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। মন্ত্রী এদিন বিকালে শাবির শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমেদ তার সঙ্গে রয়েছেন।

শুক্রবার সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান দিপু মনি। সকাল সাড়ে ৯টায় সিলেট সার্কিট হাউসে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

এর আগে বিমানবন্দরে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

এদিকে সার্কিট হাউজে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সকাল সাড়ে ১০টায় বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শনে বের হন শিক্ষামন্ত্রী। প্রকল্প পরিদর্শন ও হযরত শাহজালালের মাজার জিয়ারত করে তিনি সার্কিট হাউসে ফিরবেন।

এরপর বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত শাবিপ্রবির শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। রাত ৮টা ২০ মিনিটে বিমানে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা রয়েছে দিপু মনির।

এদিকে শিক্ষামন্ত্রীর মতবিনিময় সামনে রেখে বৃহস্পতিবার রাতে ক্যাম্পাসে বৈঠকে বসেন আন্দোলনকারীরা।

মন্ত্রী ‘আন্তরিকতার সঙ্গে আন্দোলনকারীদের দাবিগুলো সরকারের কাছে তুলে ধরে শিক্ষার্থীদের হয়রানি ও মানসিক যন্ত্রণা থেকে মুক্ত করার পদক্ষেপ নেবেন’ বলে আশা প্রকাশ করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অন্যতম মুখপাত্র ইয়াসির সরকার।

গত ১৩ জানুয়ারি রাতে বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী ছাত্রী হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগে আন্দোলনে নামেন ওই হলের শিক্ষার্থীরা। পরদিন রবিবার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আইসিটি ভবনে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেন। পরে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে।

১৫ জানুয়ারি বিকালে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে। এক পর্যায়ে পুলিশ লাঠিপেটা করে, কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাসহ অন্তত অর্ধশত আহত হন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয় শাবি কর্তৃপক্ষ।

তবে তা উপেক্ষা করে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কিলোতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অনশন শুরু করেন।

গত ২৬ জানুয়ারি সকালে বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল অনশনরত ২৮ জন শিক্ষার্থীর অনশন ভাঙান। এরপর থেকে অহিংস আন্দোলনের ঘোষণা দিয়ে অবরোধ ও অনশন কর্মসূচি থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন তারা।

এর পর গত বুধবার বিকালে উপাচার্যের পদত্যাগ, শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার এবং বন্ধ করে দেওয়া বিকাশ অ্যাকাউন্টগুলো খুলে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা।

অনশন ভাঙার সময় শিক্ষার্থীদের মামলা উঠানো এবং দাবি মানার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রায় ১৫ দিন হয়ে গেলেও মামলা প্রত্যাহার করা হয়নি এবং তাদের চিকিৎসা ও খাবারের জন্য সাহায্য করায় সাবেক শিক্ষার্থীদের বিকাশ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়। এখনো মামলা প্রত্যাহার হয়নি এবং অ্যাকাউন্টগুলোও খুলে দেওয়া হয়নি।

এর প্রেক্ষিতে বুধবার ফের আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে ঘোষণা দেন তারা।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com